করোনার স্থায়ীকাল নিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য হতাশা তৈরি করেছে: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

সমন্বয়হীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কোনো কোনো কর্মকর্তার করোনার স্থায়ীকাল নিয়ে অদূরদর্শী ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য জনমনে হতাশা তৈরি করছে।

দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে এ ধরনের বক্তব্য কারও দেওয়া সমীচীন নয় বলেও মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আজ শুক্রবার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মানুষ যখন আগামী দু-এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, ঠিক তখনই গভীর অনিশ্চয়তার কথা শোনান দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। গতকাল বৃহস্পতিবার অনেকটা আকস্মিকভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে হাজির হয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বললেন, করোনা পরিস্থিতি এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। আগামী দুই থেকে তিন বছর বা তারও বেশি সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থাকবে। তবে সংক্রমণ উচ্চহারে না–ও থাকতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তার এ বক্তব্যে সাধারণ মানুষ হতাশ আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার যখন দিনরাত পরিশ্রম করে মানুষের মনোবল চাঙা রাখার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন এমন বক্তব্য হতাশা তৈরি করতে পারে।

করোনার এই সংকটে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অনেকেই দেশ-জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই পরিস্থিতির মধ্যেও খুলনায় একজন চিকিৎসককে হত্যার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এ হত্যার তীব্র নিন্দা ও নিহত চিকিৎসকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

বর্তমান সংকটে চিকিৎসকসহ সম্মুখযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। অন্যায়কারী যত ক্ষমতাশালীই হোক, তার রেহাই নেই।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী করোনা সংক্রমণের বর্তমান পর্যায়ে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জোনভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরপরই দ্রুত ও কার্যকরভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে সুসমন্বয়।

যেসব এলাকা লকডাউন করা হবে, সেসব এলাকার জনসাধারণকে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবার সহযোগিতায় এই সংকট কাটিয়ে উঠব ইনশা আল্লাহ।’

আরও পড়ুন:
করোনা থাকবে আরও ২/৩ বছর, সরকারের উদ্যোগহীনতার মাসুল দেবে জনগণ
করোনা নিয়ে বাড়ল আতঙ্ক ও হতাশা