ঔষধ প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ডা. জাফরুল্লাহ

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র‍্যাপিড টেস্টিং কিটের কার্যকারিতা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রতিবেদনের পর ঔষধ প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ শুক্রবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা জানান।

গত ১৩ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয়। এক মাসেরও বেশি সময় পরে গত বুধবার বিএসএমএমইউ সে কিটের প্রতিবেদন দিয়েছে।

কিটের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিজ্ঞপ্তিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। গণস্বাস্থ্যের নামকরণ এবং স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজেই। আবার বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিএসএমএমইউর কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছেন।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, ইতিবাচক প্রতিবেদন পেলে তিনি নিবন্ধন দেবেন। এমনকি বিশেষজ্ঞ কমিটিতেও পাঠাবেন না। এটাই যৌক্তিক। আমরা এখন ঔষধ প্রশাসনের দ্রুত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।’

বিজ্ঞপ্তিতে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘বিএসএমএমইউর কারিগরি কমিটি কর্তৃক গণস্বাস্থ্য আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি কিটের সুপারিশের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশা করি ঔষধ প্রশাসন জরুরিভাবে সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে এবং অতি দ্রুত নিবন্ধন ও বিপণনের অনুমতি দেবে। কত শতাংশ কার্যকর, তা বৈজ্ঞানিক আলোচনার বিষয়। কিটের উন্নয়ন একটি চলমান বিষয়। এ বিষয়ে আমরা বিএসএমএমইউর ক্রমাগত সহায়তা চাইছি। তারা অ্যান্টিজেন কিটটি দ্রুত পরীক্ষা করে দিক। তবে বিএসএমএমইউ আনুষ্ঠানিকভাবে যা বলেছে, সেটাই হোক ভিত্তি।’

লালফিতার কারণে যেন সময় আর নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেন জাফরুল্লাহ। তিনি আরও বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে জাতির এক মহাদুর্যোগের দিনে ১৭ কোটি মানুষের জীবনে সরাসরি একটি সুসংবাদ বয়ে এনেছে। সবার অভিনন্দন প্রাপ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই একটা আশা নিয়ে গণস্বাস্থ্যের জন্য কতগুলো বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে দিয়েছিলেন, সেটাও ফলপ্রসূ হয়েছে।’