মনোহরগঞ্জে করোনার নমুনা সংগ্রহের সময় হামলার চেষ্টা

বৃষ্টির কারণে গ্রামের সড়কে জমেছে কাদাপানি। তাই এক করোনা রোগীর দ্বিতীয়বারের নমুনা সংগ্রহ করতে নমুনা সংগ্রহকারী দল তাঁদের গাড়ি নিয়ে ওই রোগীর বাড়ির সড়কে ঢুকতে পারছিলেন না। বিধায় ওই রোগী স্থানীয় বিদ্যালয়ের মাঠে এনে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করেন তাঁরা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশনাও এমনটিই ছিল। কিন্তু এতেই বাধে হাঙ্গামা।

স্থানীয় কয়েকজন যুবক এ সময় নমুনা নিতে বাধা দেন। শুধু তা–ই নয়, নমুনা সংগ্রহকারী দলের ওপর চালান হামলার চেষ্টা। একই সঙ্গে নমুনা সংগ্রহকারী দলের গাড়িতে থাকা নারী চিকিৎসকদের গালিগালাজও করেন তাঁরা। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসারসংলগ্ন জাওরা এলাকায়।

মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘মনোহরগঞ্জ উপজেলা নমুনা সংগ্রহ দল উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রাম থেকে নাথেরপেটুয়া যাচ্ছিল। এই খবর পেয়ে আমি দলের সদস্যদের ওই পথলাগোয়া একটি গ্রামের চিকিৎসাধীন কোভিড–১৯ রোগীর নমুনা আনার জন্য অনুরোধ করি। করোনা সংক্রমিত ওই ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হওয়ার ১৮ দিন পেরিয়ে গেছে। এদিকে, ১৪ দিন পরই দ্বিতীয়বার করোনার পরীক্ষা করে সাধারণত সুস্থ ঘোষণা করতে হয়। তাই আবার পরীক্ষা করার জন্য নমুনা নিয়ে আসতে আমিই তাঁদের বলি।’

নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, নমুনা সংগ্রহকারী দল গাড়ি নিয়ে এই এলাকায় গেলে সড়কে কাদাপানি জমে থাকায় ঢুকতে পারছিল না। পরে করোনা সংক্রমিত রোগীকে মাস্ক ও গ্লাভস পরিয়ে বিদ্যালয় মাঠে আনা হয়। একই সঙ্গে নমুনা নেওয়া হয়। এ সময় এলাকার কিছু যুবক বাধা দেন। একই সঙ্গে নমুনা দলের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। নারী চিকিৎসকদের গালাগাল করেন। এ সময় স্বাস্থ্য সহকারী প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারতে আসেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় তাঁরা নমুনা নিয়ে ফিরে আসেন।

মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। একই সঙ্গে হামলাচেষ্টার নিন্দা জানাই।’

নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাফর ইকবাল বলেন, এ ঘটনার তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।