ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসকসহ ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় একজন চিকিৎসকসহ ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তাঁদের করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়ার প্রতিবেদন পৌঁছায়। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫২৬। আজ রাত আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে।

জেলায় কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত রোগীদের ৭৫ শতাংশই চলতি জুন মাসের ১৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন। এসব নমুনার ফল জেলার বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নমুনা পাঠানো ও নমুনার ফল সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক সুবল চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যায় ৫৯ জনের নমুনার ফল কার্যালয়ে পৌঁছায়। এর মধ্যে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসকসহ সদর উপজেলার আটজন, নবীনগরের একজন, বিজয়নগরের একজন ও কসবা উপজেলার পাঁচজন রয়েছেন। সদর উপজেলার আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জেলা শহরের কাজীপাড়ায় দুজন, দক্ষিণ মৌড়াইলে একজন, ভাদুঘরে একজন, দাতিয়ারায় একজন, কাউতলীতে একজন ও পাইকপাড়ার বাসিন্দা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৯১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ রাত পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৫০ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। আজকের হিসাব নিয়ে জেলায় করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৬। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সদর উপজেলায়, ১৬৯ জন।

এর আগে ১০ থেকে ১২ জুন তিন দিনে ১০১ জন শনাক্ত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে আসা ৪৭৮টি নমুনার ফলের মধ্যে ১০৫ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়। জেলায় ১১ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১৩১। ২ থেকে ২০ জুন রাত আটটা পর্যন্ত ১৯ দিনে আসা নমুনার ফলে ৩৯৫ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ৭৫ শতাংশই চলতি জুন মাসের ১৯ দিনে (২-২০ জুন) আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ছয়জন, যার মধ্যে চলতি জুন মাসেই মারা গেছেন চারজন। আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৮৯ জন।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে করোনার পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আজ সেখান থেকে ৫৯টি নমুনার ফল পাঠানো হয়। সেখানে একজন চিকিৎসকসহ ১৫ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।