তারাগঞ্জে বোরো ধানের দামে খুশি চাষি

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

চলতি মৌসুমে রংপুরের তারাগঞ্জে বোরো ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ (২৮ কেজি) চিকন জাতের ধান ৬০০ টাকা, মোটা জাতের ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। কৃষকেরা জানান, এই দামে ধান বিক্রি করে তাঁরা লাভের মুখ দেখছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার ইকরচালী, হাড়িয়ারকুঠি, আলমপুর, সয়ার, কুর্শা ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকেরা মাঠে পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত। কেউ কেউ কাটা ধান আঁটি বাঁধছেন। কেউ মাথায় করে ধানের আঁটি বাড়িতে নিচ্ছেন। কেউ করছেন ধান মাড়াইয়ের কাজ।

লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান (৪৮) বলেন, ‘এবার হামার এলাকায় ধানের রোগবালাই কম, ফলন খুবই ভালো হইছে। যেদিকে তাকাবেন, দেখবেন ধান আর ধান। কয়দিন থাকি আকাশের অবস্থাও ভালো। মনের আনন্দে সেই ধান সবাই অ্যালা ঘরে তুলুছি।’

খিয়ারজুম্মা গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন (৩৮) বলেন, ‘ভাই হামার সম্বল তো জমি। ছয় বছর থাকি ধান চাষ করি লস খাওচি। ৪০০-৫০০ টাকার বেশি দামে ধান বেচপার পাই নাই। এইবার ভালো দাম পাওছি। এক মণ (২৮ কেজি) ২৮ জাতের চিকন ধান ৬০০ টাকা, আর হাইব্রিড জাতের মোটা ধান ৫৬০ টাকা বেচাওছি। এমতোন দাম থাকলে হামার লস হবার নয়।’

কাংলাচড়া গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী (৫২) বলেন, এবার ৫০ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো ধান চাষ করতে তাঁর খরচ হয়েছে মোট ১৫ হাজার ৫০০ টাকা। ধান পেয়েছেন ৪৮ মণ। তিনি প্রতি মণ ধান ৫৫০ টাকা করে বিক্রি করে মোট ২৬ হাজার ৪০০ টাকা পেয়েছেন। খরচ বাদে তাঁর লাভ হয়েছে ১০ হাজার ৯০০ টাকা।

ইকরচালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, চিকন জাতের বোরো ধান চাষ করে তিনিও একরে এবার ২২ হাজার টাকা লাভ করেছেন।

তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন, উপজেলায় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় সেই ধান কৃষকেরা মনের আনন্দে ঘরে তুলছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ও দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা খুশি।