শেরপুরে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শেরপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্বামী-স্ত্রীসহ নতুন করে ১৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চার দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল শনিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দুই শ ছাড়িয়ে দাঁড়াল ২০৯। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১০২ জন। আর তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।


নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১১ জন, শ্রীবরদীতে ৪ জন ও সদর উপজেলায় ২ জন রয়েছেন।

জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে সংক্রমিত হওয়া ১৭ জনের মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেহমা সারওয়াত সালাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের একজন অফিস সহাকারী এবং শ্রীবরদী উপজেলা সদরের খামারিয়াপাড়া এলাকার স্বামী-স্ত্রী রয়েছেন। এই স্বামী-স্ত্রী এর আগে সংক্রমিত এক ব্যবসায়ীর বড় ভাই ও ভাবি। ওই ব্যবসায়ীর করোনা শনাক্তের পর তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। অন্যরা সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা।

জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ, সদরের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোবারক হোসেন ও শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন গতকাল রাতে প্রথম আলোর কাছে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, গতকাল রাতে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চ ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুই নারীর করোনা শনাক্তের পর আড়াই মাসে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৯ জনে। এর মধ্যে গত তিন সপ্তাহেই শনাক্ত হয়েছেন ৯৯ জন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঈদুল ফিতরের পর লকডাউন শিথিল ও যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে জেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। তাই করোনার বিস্তার রোধে মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গতকাল পর্যন্ত সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে শেরপুর সদরে ৮৮, নকলায় ৪১, নালিতাবাড়ীতে ৩৯, ঝিনাইগাতীতে ২২ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ১৯ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নয়জন চিকিৎসকসহ ৪১ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ২৪ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।