বগুড়ায় করোনায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ও কলেজশিক্ষকের মৃত্যু

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

বগুড়ার সরকারি-বেসরকারি দুই হাসপাতালে করোনাভাইরাস পজিটিভ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কোভিডের সঙ্গে টানা তিন সপ্তাহ লড়াই করে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল আটটায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে।


এদিকে একই সময়ে সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে করোনা পজিটিভ একজন কলেজশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে দুজন কোভিড পজিটিভ রোগীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির নাম সালাউদ্দিন (৫৪)। তাঁর বাড়ি পাবনা সদরের কাচারিপাড়া এলাকায়। তিনি বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি এলজিইডির রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্পে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন বলে এলজিইডির বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী পদোন্নতির আগে তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর ও ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী পদেও কর্মরত ছিলেন।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম (এইও) প্রথম আলোকে বলেন, গত ঈদুল ফিতরের পর থেকেই সালাউদ্দিন কোভিড-১৯ উপসর্গে ভুগছিলেন। গত ৩১ মে তিনি করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন। ১ জুন নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ৪ জুন তিনি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ঠিক তিন সপ্তাহের মাথায় গতকাল শনিবার রাতে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়ার পর আজ সকাল আটটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় দাফনের জন্য প্রস্তুত করে তাঁর লাশ পাবনায় পাঠানো হয়েছে।

মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা টিএমএসএসের উপনির্বাহী পরিচালক-২ মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়ে ১০ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এদিকে বগুড়ার করোনা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আজ সকাল আটটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া কলেজশিক্ষকের নাম এ এইচ এম শাফিউল আলম (৫৯)। তাঁর বাড়ি গাবতলী উপজেলার হামিদপুর গ্রামে। তিনি গাবতলীর লাঠিগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খায়রুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, শাফিউল প্রায় ১২ দিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ কোভিডের উপসর্গে ভুগছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় গত শুক্রবার তিনি করোনা পজিটিভ হন। গতকাল বেলা ১২টার দিকে তাঁকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর লাশ হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে গাবতলী উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।