মির্জাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দম্পতির মৃত্যু

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দম্পতি মারা গেছেন। আজ রোববার সকাল আটটার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁদের ছেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনীক মিয়া (১০) অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।

মৃত দম্পতি হলেন অভিরামপুর গ্রামের মো. শাজাহান মিয়া (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী এলোনা বেগম (৩০)।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শাজাহান দম্পতির সংসারে অনীক (১০) ও জান্নাত (৬) নামের দুই সন্তান রয়েছে। তিনি পেশায় চায়ের দোকানদার। আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শাজাহান তাঁর মহিষ চরাতে মাঠে নিয়ে যান। এ সময় হঠাৎ তিনি মাঠের ওপর পড়ে থাকা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়াপদা) তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁর আর্তচিৎকারে পাশেই থাকা তাঁর স্ত্রী তাঁকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের পাশে থাকা ছেলে অনীক এগিয়ে গেলে সেও সামান্য আহত হয়। তাদের ডাকাডাকিতে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করে বাঁশতৈল বাজারে ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দম্পতিকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাঁশতৈল ইউপির সদস্য আ. মান্নান খান বলেন, তারে জড়িয়ে ওই দুজন মারা গেছেন। যেখানে মারা গেছেন, সেখানে বিদ্যুতের তার মাটির ওপর পড়ে ছিল। ওই এলাকার অধিকাংশ স্থানেই বিদ্যুতের খুঁটি ছাড়া বাঁশের মধ্যে তার ঝুলিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খুবই অমানবিক।

মুঠোফোনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সখীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (এক্সএন) শাহাদত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাঁদের কর্মী পাঠানো হয়েছে। সেখানে পল্লী বিদ্যুতের লাইনও রয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নাকি পল্লী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ওই দম্পতি মারা গেছেন, তা জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, ওয়াপদার তারগুলো ওই এলাকায় খুবই নিচু করে টাঙানো। ওই তারে জড়িয়েই দুজন মারা গেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।