বিভাগে কোভিড রোগীর প্রায় ৪১ শতাংশ খুলনা জেলাতেই

করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ চলছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি
করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ চলছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি

খুলনা বিভাগে কোভিড রোগীদের প্রায় ৪১ শতাংশ শুধু খুলনা জেলাতেই। বর্তমানে জেলায় এ রোগীর সংখ্যা ৯৪৬। যশোর ও কুষ্টিয়ায় রোগীর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও বাগেরহাটে রোগীর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আর সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলায় রোগী ১০০ ছুঁইছুঁই করছে।

আজ রোববার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, বিভাগে গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত নতুন করে ১৯৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে রোগী দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২৬ জনে। একই সঙ্গে কোভিডে খুলনা, যশোর ও নড়াইলে ১ জন করে মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৬০৮ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুলনা বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ। পরবর্তী ৭৩ দিনে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০০। ১১ জুন ৮৫তম দিনে এখানে সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার রোগী ছাড়ায় ১৬ জুন, অর্থাৎ ৯০তম দিনে। আর ২ হাজার রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ জুন ৯৪তম দিনে।
খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণের গতি প্রথম আড়াই মাস খুবই কম ছিল। কয়েক দিন ধরে তা লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণের এই গতি থামাতে প্রস্তাবিত জোনভিত্তিক লাল, হলুদ, সবুজ এলাকা চিহ্নিত করে লকডাউন পদ্ধতি কার্যকর করা শুরু হয়েছে। এটা যত দ্রুত করা যাবে, তত ভালো ফল পাওয়া যাবে।
বিভাগে নতুন সংক্রমিত ১৯৯ জনের মধ্যে খুলনা জেলায় ১৪৬ জন, বাগেরহাটে ৪, যশোরে ১০, নড়াইলে ১৩, কুষ্টিয়ায় ১৯, চুয়াডাঙ্গায় ৪ ও মেহেরপুরে ৩ জন। এ সময়ে মাগুরা, সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহে নতুন করে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
এ নিয়ে খুলনায় মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৯৪৬ জন, বাগেরহাটে ১০৬ জন, সাতক্ষীরায় ৯৬ জন, যশোরে ৩২৯ জন, ঝিনাইদহে ১২৩ জন, মাগুরায় ৬৪ জন, নড়াইলে ৯৪ জন, কুষ্টিয়ায় ৩৪৭ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৮০ জন ও মেহেরপুরে ৪১ জন।
বিভাগে এখন পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় সবচেয়ে বেশি ১১ জন, মেহেরপুরে ৪ জন এবং কুষ্টিয়ায় ও নড়াইলে ৩ জন করে। এ ছাড়া বাগেরহাট, ঝিনাইদহে, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দুজন করে রোগী মারা গেছেন। সাতক্ষীরায় কোনো কোভিড রোগী মারা যাননি।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুলনা বিভাগে করোনার হটস্পট এখন খুলনা। কয়েক দিন ধরে সংক্রমণের গতি বাড়ছেই। জোনিং করে আমরা লকডাউন করা একটু একটু করে শুরু করেছি।’