বিউটিপার্লার কর্মী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের সহায়তার দাবি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাকালে বিউটি পার্লারে কাজ করা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অনেক নারী কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের তালিকা প্রকাশ করে এসব আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি উঠেছে।

'করোনাকালে বিউটি পার্লারে কর্মরত আদিবাসী নারীদের সার্বিক অবস্থা' শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় এ দাবি উঠে।

সরকার সম্প্রতি সৌন্দর্য থাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেই গেজেট দ্রুত প্রকাশেরও দাবি করা হয়েছে সভায়।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক এর আয়োজন করে। মিডিয়া পার্টনার ছিল আইপিনিউজ।সভাটি আইপিনিউজ ফেসবুক পেজে লাইভ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক রোকেয়া কবির বলেন- অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের মধ্যে বিউটি পার্লার অন্যতম। ফলে এ খাতের কর্মরত আদিবাসী নারীরা বেশি অসুবিধায় পড়ছে এ বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে। সরকারের সহায়তা তাদের বেশি দেওয়া প্রয়োজন। তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেতন মওকুফ করা দরকার।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, পরিসর নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। শ্রম আইন অনুসারেবিউটিশিয়ানদের কীভাবে সহযোগিতা দেওয়া যায় তা দেখতে হবে। বিউটি পার্লার প্রসারে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে সরকারের সুদৃষ্টি দরকার। পাশাপাশি অন্যান্যদের তাদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, এ সংকটে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিউটিশিয়ানরা আড়ালেই ছিলেন। বিউটিশিয়ানরা অন্যদের সাজালেও তাদের বেদনার কথা আমরা শুনিনি কখনো। তাদের থাকা, খাওয়া, নিরাপত্তা ইত্যাদি নিয়ে তাদেরকে ভাবতে হয়। কোনো বিউটি পার্লারে নীতিমালা নেই। কীভাবে নিয়োগ পাবে, বেতন কত হবে তার কোন নিয়ম নেই। করুনা নয়, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আছে বিউটি পার্লার ও গার্মেন্টসে কাজ করা শ্রমিকদের সহযোগিতা করা।

বেসরকারি সংগঠন আইপিডিএসের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর তুলি লাবন্য ম্রং বলেন, দেশে সৌন্দর্য সেবাখাতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করা নারীদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর। করোনা মহামারী সময়ে তারা মানবেতর জীবন পার করছে। এখন তাদের বেতন বন্ধ, ঘর ভাড়া ও পরিবারের খাবারের সংকটে তাদের অনেক ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।

বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের
সদস্য সচিব চঞ্চনা চাকমা। আলোচনায় আরও অংশ নেন বিউটিশিয়ান সাবিনা রাংমা, এমেলিয়া মাজি, পার্লার মালিক কুহেলী আজিম প্রমুখ।

বিউটি পার্লার মালিক ও শ্রমিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা, মর্যাদাপূূর্ণ পরিবেশ তৈরি, প্রজনন স্বাস্থ্যের অধিকারসহ নয় দফা সুপারিশ করা হয় সভায়।