নাটোরে আইনজীবী ও তিন বছরের শিশু করোনায় সংক্রমিত

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

নাটোরে একজন আইনজীবীর শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁর পরিবারের আরও দুই সদস্য, বড়াইগ্রামের তিন বছরের এক শিশুসহ জেলায় নতুন মোট ১৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। গতকাল রোববার রাতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এ নিয়ে নাটোরে মোট ১৪৮ জনের শরীরের করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন একজন, সুস্থ হয়েছেন ৫৪ জন। বাকি ৯৩ জন বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন শনাক্ত ১৩ জনের মধ্যে নাটোর সদরে পাঁচজন, সিংড়া উপজেলায় একই পরিবারের তিনজন ও গুরুদাসপুর উপজেলায় তিনজন। নাটোর ও বড়াইগ্রামের আগে সংক্রমিত দুজনের দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষার ফলাফলও পজিটিভ এসেছে।

নাটোর সদর উপজেলায় নতুন সংক্রমিত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি শহরের কাপড়িয়াপট্টি মহল্লায়। তাঁদের মধ্যে একজন আইনজীবী। তিনিই জেলায় করোনায় সংক্রমিত প্রথম আইনজীবী। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর ছেলে ও ভাইয়ের স্ত্রী। এর আগে তাঁর ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। সদরের অপর শনাক্ত নারীর বাড়ি ছাতনী এলাকায়। তিনি পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে কর্মরত।

বড়াইগ্রামে সংক্রমিত তিনজনের মধ্যে তিন বছরের এক শিশু রয়েছে। ওই শিশু বড়াইগ্রাম উপজেলার দাড়িখৈড় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীর মেয়ে। কয়েক দিন আগে তার বাবার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সিংড়ায় সংক্রমিত তিনজনই একই পরিবারের। সেখানে ব্যবসায়ী বাবা ও তাঁর দুই ছেলের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের বাড়ি সিংড়া পৌরসভার চলনবিল মহিলা কলেজপাড়ায়। এদিকে গুরুদাসপুরে সংক্রমিত তিনজনের দুজন স্বামী-স্ত্রী। অপরজন আগে সংক্রমিত এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী।

সংক্রমিত সবাই নিজ নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়েছে। সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, নমুনা দেওয়ার বেশ কয়েক দিন পর ফলাফল আসায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের অবাধ চলাফেরা অব্যাহত থাকছে। যদিও নমুনা দেওয়ার সময়ই তাঁদের হোম কোয়ারন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে। তা অনেকে না মানায় জেলায় সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে।