সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এবার স্কুলছাত্রের মৃত্যু

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

সাতক্ষীরায় কালীগঞ্জে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হলো। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল রোববার রাত ১২টা থেকে আজ সোমবার বেলা আড়াইটার মধ্যে তাঁদের মৃত্যু হয়।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মানস কুমার মণ্ডল জানান, আজ বেলা দুইটার পরে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়ন থেকে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রকে নিয়ে আসা হয়। তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। তাকে চিকিৎসা দিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে নিয়ে যাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে সে মারা যায়। পরে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছে।

মানস কুমার মণ্ডল আরও জানান, ঢাকায় বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত একজন (৪২) জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে আসেন। তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গতকাল তাঁর অবস্থার অবনতি হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) হস্তান্তর করে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আজ দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। এ ছাড়া গতকাল রাত ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলার কেরাগাছি ইউনিয়ন থেকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে একজনকে (৬২) জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার ১০ মিনিটের মধ্যে তিনি মারা যান। এদিকে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদাহ ইউনিয়নের এক বৃদ্ধ (৭২) গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতালে আসেন। আজ সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম জানান, ১৫ ঘণ্টার মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে এই চারজনের মৃত্যুর বিষয় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে জানানো হয়েছে। মরদেহ সম্পর্কে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় এ নিয়ে ২০ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন। এর মধ্যে আগে পাঠানো ১৪টির নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। সব কটির রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার সরকার করোনার উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, আজ নতুন করে আরও পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৫৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআর ও খুলনার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়েছে মোট ১০১ জনের।

আরও পড়ুন: