হাইকোর্টে জামিন পাননি সেই তুফান সরকার

তুফান সরকার
তুফান সরকার

বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ এবং কিশোরী ও তাঁর মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার হাইকোর্ট থেকে জামিন পাননি। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ সোমবার তুফানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে আদালত আবেদনটি হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে (আদালত খোলার পর) উপস্থাপন করতে বলেছেন।

তুফান সরকার বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন, পরে বহিষ্কার করা হয়। ওই মামলায় চলতি বছরের ১৯ মে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ জামিন চেয়ে বিফল হন তুফান। এর বিরুদ্ধে আপিল করে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ এইচ এম রেহানুল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ। পরে বশির উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় আদালত তুফান সরকারকে জামিন না দিয়ে নিয়মিত বেঞ্চে (হাইকোর্ট খোলার পর) আবেদনটি উপস্থাপন করতে বলেছেন।
ওই ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই তুফান সরকারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ বগুড়া সদর থানায় ওই মামলাটি করেন। পরদিন তুফান সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেয়েটির মায়ের করা মামলার ভাষ্য, ভালো কলেজে ভর্তি করবেন বলে তুফান মোবাইলে যোগাযোগ করেন। পরে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই বগুড়ায় তুফানের বাড়িতে নিয়ে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন। তুফানের স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে ওই ঘটনার জের ধরে ওই বছরের ২৮ জুলাই তাঁর এবং তাঁর মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেন। এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।