স্বাস্থ্য বিভাগকে 'মহা আজগুবি বিভাগ' বললেন সাংসদ একরামুল

স্বাস্থ্য বিভাগকে এবার ‘মহা আজগুবি বিভাগ’ বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যও।

আজ সোমবার বিকেলে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লাইভ ভিডিওতে এসে এ মন্তব্য করেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি দু-তিন দিন আগে বলেছিলাম, স্বাস্থ্য বিভাগ একটা আজগুবি বিভাগ, কিন্তু এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে, এটা আজগুবি নয়, মহা আজগুবি বিভাগ।’
সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওই লাইভ ভিডিও করেন। সন্ধ্যা সাতটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর ভিডিওটি প্রায় ছয় হাজারবার শেয়ার হয়েছে এবং প্রায় দুই হাজার মানুষ মন্তব্য করেছেন। ১৫ জুন দুপুরেও একইভাবে ফেসবুকের লাইভে এসে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা সমালোচনা করেন। ওই ভিডিওতেও সাংসদ একরামুল বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আসলে কে চালাচ্ছে—সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
আজকের লাইভ ভিডিওতে সাংসদ একরামুল বলেন, ‘আজ নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের করোনা পরীক্ষা বন্ধ কিটের অভাবে। এই কিটের অভাবের কারণে মানুষের মনে একটা হাহাকার বিরাজ করছে।’ সাংসদ বলেন, ‘শুনেছি, আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই নাকি বলেছেন দেশে কিটের সংকটের কথা। কিন্তু আমি যত দূর জানি, তিন-চারটি কোম্পানি, ব্যবসায়ী প্রায় ১০ লাখ কিট এনে রেখেছে। তারা দিতে পারছে না “মিঠু সিন্ডিকেটের” কারণে।’ তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিঠু সিন্ডিকেট যতক্ষণ পর্যন্ত ভাঙা না যাবে, তত দিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কখনো ভালো অবস্থানে থাকবে না।
সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে দু-তিন দিনের মধ্যে যেভাবে আপনি ক্যাসিনোকে ধ্বংস করেছেন, মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন, আপনার কাছে অনুরোধ, আপনি স্বাস্থ্যসেবার এই সিন্ডিকেটটি ভাঙার চেষ্টা করুন। এই আজগুবি বিভাগ থেকে যদি সিন্ডিকেটটা ভাঙতে পারেন, তাহলে দেশের মানুষ অনেক সুফল পাবে।...কারণ, ওই সিন্ডিকেট স্বাস্থ্য বিভাগটিকে কাবু করে রেখেছে।’
এর আগে ১৫ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অপর এক লাইভ ভিডিওতে প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য বিভাগকে আজগুবি বিভাগ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই লাইভ ভিডিওতে সাংসদ হতাশার সুরে বলেছিলেন, ‘সরকার ঘোষণা দিল নোয়াখালীতে ১০টি আইসিইউ দেবে। কিন্তু এটার কোনো আওয়াজ নাই দেখি।’
সাংসদ সেদিনও প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আসলে এই ডিপার্টমেন্টটা কে চালাচ্ছে? আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, কিন্তু আমার কাছে মনে হলো এটা আজগুবি এক ডিপার্টমেন্ট। এটার কোনো আগা নেই মাথা নেই।’
সাংসদ মন্ত্রণালয়ের চালকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আপনারা যাঁরাই চালাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলি, মন্ত্রণালয় চালাতে হলে শুটার লাগে। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি লাগে। শুধু অর্থনীতির দিকে তাকালে হবে না, পকেট ভারীর দিকে তাকালে হবে না।’