দিনাজপুরে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত ছয়জন পেলেন স্বাস্থ্যবিমার টাকা

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিমার অর্থের চেক তুলে দেয় ব্র্যাক পরিবার। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে। ছবি: প্রথম আলো
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিমার অর্থের চেক তুলে দেয় ব্র্যাক পরিবার। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে। ছবি: প্রথম আলো

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় স্বামী আবদুল করিম যখন নিখোঁজ হন, স্ত্রী সোনাভান তখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ওই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডিতে সোনাভানের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ফেরেন সোনাভান। এ সময় তাঁর পাশে দাঁড়ায় ব্র্যাক পরিবার। সোনাভানের স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব গ্রহণ করে তারা।

সামান্য অর্থ দিয়ে সোনাভানকে বাড়িতেই মুদিখানার দোকান করে দেয় ব্র্যাক। সেই সঙ্গে চালু করে দেন স্বাস্থ্যবিমা। বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক দিন আগে। বিমার মেয়াদান্তে সোনাভানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার চেক।

আজ সোমবার দুপুর ১২টায় দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও ব্র্যাক পরিবারের সদস্যরা সোনাভানের হাতে এই অর্থের চেক তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলম, ব্র্যাক কর্মকর্তা মো. রইছ উদ্দিন, আলমগীর হোসেন ও আরিফুল ইসলাম।

ব্র্যাকের স্বাস্থ্যবিমার অর্থের চেক হাতে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুরের ছয় গ্রহীতা। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে। ছবি: প্রথম আলো
ব্র্যাকের স্বাস্থ্যবিমার অর্থের চেক হাতে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুরের ছয় গ্রহীতা। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে। ছবি: প্রথম আলো

একই দিনে সোনাভানের মতো রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুরের আরও পাঁচজনকে এই স্বাস্থ্যবিমার অর্থের চেক প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন সাফিয়া বেগম, মোফাজ্জল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, রোজিনা বেগম ও ঝর্ণা বিবি। প্রত্যেকেই সর্বনিম্ন ৭১ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ১০ হাজার পর্যন্ত মেয়াদান্তে বিমার টাকা পেয়েছেন। দুর্ঘটনার পর থেকে আর ঢাকা ফেরেননি তাঁরা। মুদিখানার দোকান, পানের বরজসহ ব্যবসা-বাণিজ্য করে প্রত্যেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন।

ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী আরিফুল ইসলাম বলেন, রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুরের ছয়জনকে শুরুতে ব্র্যাক পরিবার সামান্য অর্থসহায়তা দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলতে কাজ করে গেছে। সেলাই মেশিন, গবাদিপশু ও নগদ অর্থ প্রদান করেছে। বর্তমানে প্রত্যেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ভবিষ্যতেও ব্র্যাক পরিবার তাঁদের পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।