কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় ১৪ দিনের লকডাউন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় আজ সোমবার থেকে টানা ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এই কারণে উপজেলার সব হাটবাজার, দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে হাসপাতাল, ওষুধের দোকান ও জরুরি সেবা কার্যক্রম চলবে। লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধবিষয়ক কমিটির সভাপতি মো. আনিসুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ইউএনও মো. আনিসুল ইসলাম বলেন, বরুড়া উপজেলায় গতকাল রোববার পর্যন্ত ৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন মারা গেছেন। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় গত শনিবার দুপুরে এক সভা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইউএনও আরও বলেন, ‘কুমিল্লার অন্যান্য উপজেলায় শতাধিক করে রোগী আছেন। বরুড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কম। এক্ষুনি আমরা এটা রোধ করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছি। এ ছাড়া মাইক্রো ক্রেডিট করা এনজিওগুলোর কিস্তির টাকা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। এই সময়ে কেউ দিতে না পারলে জোরাজুরি করা যাবে না।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে বরুড়া বাজার, আড্ডা, ঝলম, শাকপুর, ভাউকসারসহ সব এলাকার বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল। ওষুধের দোকান খোলা ছিল। সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। প্রশাসনের ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা লকডাউন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। বরুড়া মধ্যবাজারে দুপুরে পুলিশি টহল দেখা গেছে। আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন (অবরুদ্ধ) চলবে।