ফরিদপুর সদরে কোভিডে বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মোট ১৮ জন। এর মধ্যে চারজন মুক্তিযোদ্ধা।

আজ মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর চার মেয়ে রয়েছে। আগে ফরিদপুরে লোকাল বাসের টিকিট কাউন্টারের মাস্টার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। জীবনের শেষ দিনগুলো তিনি বাড়িতে অবসর জীবন যাপন করছিলেন।

২১ জুন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর নমুনা দেওয়া হয়। ওই দিনই পরীক্ষায় তাঁর করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়। তাঁর মেয়ে জানান, তাঁর বাবা আট দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। প্রথমে তাঁর সর্দি লাগে। সর্দি কোনোভাবেই সারছিল না। এর সঙ্গে পরে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। আজ মঙ্গলবার শ্বাসকষ্ট জোরালো হলে তাঁর বাবাকে বেলা ১১টার দিকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন তাঁরা।

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুম রেজা বলেন, রাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই বৃদ্ধের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

ফরিদপুরে এ পর্যন্ত করোনোয় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১৮ জন। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ভাঙ্গা উপজেলায়। এ উপজেলায় দুজন মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া ফরিদপুর সদরে একজন মুক্তিযোদ্ধাসহ তিনজন, বোয়ালমারীতে একজন মুক্তিযোদ্ধাসহ দুজন, সদরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকসহ দুজন, চরভদ্রাসনে একজন নরসুন্দর এবং আলফাডাঙ্গায় ৩৭ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি করোনায় মারা গেছেন।