পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কৃষকের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের লালপুর উপজেলায় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুই কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন। এর আগে লালপুর ও রাজশাহীর ডুবুরি দল দুই দফায় চেষ্টা করেও নিখোঁজ কৃষকদের সন্ধান করতে পারেনি।
নিহত দুজন হলেন লালপুরের বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আতব্বর আলীর ছেলে সেলিম হোসেন (২৩) ও ছইমুদ্দিন আলীর ছেলে পুকিন আলী (৩৫)।

লালপুর থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত দুজনের স্বজনেরা পদ্মা নদীর ভাটিতে নৌকা নিয়ে অনুসন্ধান চালানোর একপর্যায়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া এলাকায় নিখোঁজ একজনের লাশের সন্ধান পান। পরে বেলা ২টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে নিখোঁজ অপরজনের লাশের সন্ধান পান। উদ্ধারের পর তাঁদের লাশ বাড়িতে নিয়ে এলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সন্ধ্যায় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।

দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটির মাঝি তৌহিদুর রহমান জানান, গত রোববার পদ্মার ওপারের চরে বাদাম তুলে নিহত সেলিম হোসেন, পুকিন আলীসহ তাঁরা পাঁচজন নৌকায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝনদী অতিক্রম করার সময় পাশ দিয়ে যাওয়া অপর একটি নৌকার ঢেউয়ে তাঁদের নৌকাটি ডুবে যায়। তাঁরা তিনজন সাঁতরে উপরে উঠতে পারলেও বাঁকি দুজন নিখোঁজ হন। ওইদিনই লালপুর ও রাজশাহীর ডুবুরি দল এসে তাঁদের সন্ধান শুরু করে। কিন্তু নদীর প্রবল স্রোত ও নদীর গভীরতার কারণে উদ্ধার অভিযান বেশিক্ষণ চালাতে পারেনি। পরের দিন গতকাল সোমবার সকাল থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তাঁরা স্রোত উপেক্ষা করে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয় এবং উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত ঘোষণা করে। তবে নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা ব্যক্তিগতভাবে নৌকায় করে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান চালাতে থাকেন। অবশেষে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা নিখোঁজ কৃষকদের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।