নাগেশ্বরীতে গলায় পাটের গাছ প্যাঁচানো শিশুর লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিখোঁজের দুই দিন পর পাটখেত থেকে সাদিয়া খাতুন নামের পাঁচ বছরের এক কন্যাশিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটি নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের পূর্ব রামখানা কাশিয়াবাড়ী সুংসুঙ্গির হাট এলাকার শফিকুল ইসলাম ও আয়শা খাতুন দম্পতির একমাত্র মেয়ে।

পরিবারের সদস্য ও পুলিশ জানায়, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক শিশুটি গত রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় পাশের শওকত আলীর (শফিকুলের দাদা) বাড়িতে খেলতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন সেদিন বিকেলে নাগেশ্বরী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে খুঁজতে বের হয়ে বাড়ির পাশের একটি পাটখেতের আইলের পাশে গলায় কাঁচা পাটের গাছ প্যাঁচানো শিশু সাদিয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন নানি স্বপ্না খাতুন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ দুপুরে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে নাগেশ্বরী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে দাদা তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে তার মা-বাবা বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে। শোকে কাতর হয়ে গেছি আমরা সবাই। সাদিয়া ছিল আমার পরিবারের প্রাণ। তার হাসিমাখা মুখ ও মিশুক স্বভাবের কারণে সবাই তাকে আদর করত। নিষ্পাপ আমার এ নাতনি কার কী এমন ক্ষতি করেছে যে তাকে এভাবে প্রাণ দিতে হলো। আমরা এর বিচার চাই।’

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন কবীর জানান, গলায় কাঁচা পাটের গাছ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে, তার কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।