ভাঙ্গায় কোভিডে মুক্তিযোদ্ধাসহ দুজনের মৃত্যু

ফরিদপুরে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়ে এক মুক্তিযোদ্ধা ও আরেক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা ও সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মারা যান তাঁরা।

মারা যাওয়া দুজনই ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। গতকাল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে এই দুজনের করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়। ভাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুর রহমান খান এ দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুর শুকুর মিয়া (৭৬)। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত শনিবার ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তিনি নমুনা জমা দেন। সোমবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মৃত্যুকালে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর শুকুর মিয়া স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে মনসুরাবাদ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গতকাল রাত ১০টার দিকে মারা যান লুৎফুন্নাহার (৫০) নামের এক নারী। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার নূরুল্লরাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্দা গঙ্গাধরদী গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার খানের স্ত্রী। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। সোমবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লুৎফুন্নাহারকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে, ফরিদপুরে করোনায় সংক্রমিত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ২০ জন। এর মধ্যে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা। সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ভাঙ্গায়। এ উপজেলায় তিনজন মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ১১ জন মারা যান। ফরিদপুর সদরে একজন মুক্তিযোদ্ধাসহ তিনজন, বোয়ালমারীতে একজন মুক্তিযোদ্ধাসহ দুজন, সদরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকসহ দুজন, চরভদ্রাসনে একজন নরসুন্দর ও আলফাডাঙ্গায় ৩৭ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যান।