ময়মনসিংহে এক দিনে সর্বোচ্চ ৮৭ করোনা রোগী সুস্থ

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

ময়মনসিংহে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন করোনভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ৮৭ জন। জেলায় এক দিনে সুস্থ হওয়ার এটি নতুন রেকর্ড। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, জেলায় এখন করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯৮ জন করোনা রোগী শনাক্তের বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ৪৮২ জন। সুস্থতার হার ৩২ শতাংশ।

আজ বুধবার নতুন করে ময়মনসিংহ সদরে ৩৪ জন, ত্রিশালে ২১, ঈশ্বরগঞ্জে ১৫, ভালুকায় ১৩ ও ফুলপুর উপজেলায় ৪ জন সুস্থ হয়েছেন। যাঁরা বর্তমানে করোনায় সংক্রমিত আছেন, তাঁরাও সুস্থ হয়ে উঠবেন—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সিভিল সার্জন এ বি এম মসিউল আলম। তিনি বলেন, বর্তমানে ৯৮৮ জন করোনা রোগী আইসোলেশনে রয়েছেন।

জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। উপজেলায় ৮৪২ জন সংক্রমিত হয়েছেন, যা মোট সংখ্যার ৫৬ শতাংশ। অধিকাংশই আবার সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। বাকি ১২টি উপজেলা মিলিয়ে ৬৫৬ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম সংক্রমিত ব্যক্তি আছেন গৌরীপুরে। উপজেলায় মাত্র ১২ জন এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

সুস্থ হওয়ার তালিকাতেও জেলার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে সদর উপজেলা। এখানে এখন পর্যন্ত ২৫৪ জন সুস্থ হয়েছেন, যা জেলার মোট সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫২ শতাংশ। এ ছাড়া ঈশ্বরগঞ্জে ৩৯ জন, গফরগাঁওয়ে ৩২ জন, ধোবাউড়ায় ২৯ জন ও ফুলপুরে ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ ছাড়া ভালুকা ও ত্রিশালে ২৩ জন করে, মুক্তাগাছায় ১৩ জন, তারাকান্দা ও ফুলবাড়িয়ায় ১২ জন করে, নান্দাইলে ১০ জন, হালুয়াঘাটে ৮ জন ও গৌরীপুরে ২ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

সিভিল সার্জন এ বি এম মসিউল আলম বলেন, যেসব উপজেলায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা কম কিংবা এখনো সুস্থ হননি, তাঁরা অধিকাংশই নতুন সংক্রমিত। তাঁদের সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে। একবার পজিটিভ হলে পরে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুনরায় তিন দফা নমুনা পরীক্ষা করার পর যদি তার ফল ‘নেগেটিভ’ আসে, তখন তাঁকে চূড়ান্তভাবে করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করা হয়।

জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।