জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর ওপর জোর

বাংলাদেশের নারীরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা করে সময় ব্যয় করেন শুধু রান্নার জ্বালানি সংগ্রহ, প্রস্তুতি ও প্রচলিত পদ্ধতিতে রান্না করার কাজে। অর্ধেকেরও বেশি নারী এই ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে চাইলেও পারছেন না দারিদ্র্য ও বিকল্প জ্বালানিসাশ্রয়ী না হওয়ার কারণে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করে জীবন–জীবিকার ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রান্তিক মানুষ এখনো পিছিয়ে রয়েছে।

‘পুওর পিপলস এনার্জি আউটলুক’–এর প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার ‘২০তম জাতীয় নবায়নযোগ্য শক্তি সম্মেলন এবং গ্রিন এক্সপো ২০২০’–এর ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন তাদের বৈশ্বিক প্রকাশনা হিসেবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও সাংসদ সালমান এফ রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান।

অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বাংলাদেশের উচিত‌ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নবায়নযোগ্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির দক্ষ ব্যবহারের ওপর সর্বাধিক জোর দিতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সুবিধা প্রান্তিক মানুষের কাছে দ্রুততম সময়ে পৌঁছালে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতও সম্ভব হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব সুলতান আহমেদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের সংকটগুলো বিদ্যুৎ বিভাগ চিহ্নিত করেছে। রাজধানীতে প্রতিদিন যে বিপুল পরিমাণে বর্জ্য উত্পাদন হয়, তা থেকে শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে আমিনবাজারে ৩৬ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট স্থাপনে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জির পরিচালক সাইফুল হক।