কুমিল্লায় কাউন্সিলরের বাসার সামনে গুলিবর্ষণ

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুমা আক্তার তাঁর বাসার সামনে রাতে গুলি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে নগরের নানুয়া দিঘির উত্তর পাড়ের বাসায় এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর রুমা আক্তার দাবি করেন, নগরের তিন ব্যক্তি এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তিনি বাসার ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করেন বলে দাবি করেন। ২২ জুন রাত তিনটায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই তিন ব্যক্তি হলেন নগরের উত্তর চর্থা এলাকার সাইফুল ইসলাম, তেলিয়াপুকুরপাড়ের মহিউদ্দিন হোসেন ও মুরাদপুর চৌমুহনীর আজহার উদ্দিন। তাঁরা সবাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হক সাক্কুর অনুসারী। অভিযোগ ওঠা ওই তিন ব্যক্তিই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর রুমা বলেন, ‘২২ জুন রাত তিনটার দিকে আমার স্বামী ও আমি ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ বাসার সামনে গুলির শব্দ ও আওয়াজ পেয়ে আমরা জেগে উঠি। এ সময় কিছু লোক চিত্কার করে আমার দেবর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল পাশা সিদ্দিকীর (কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদের অনুসারী) নাম উচ্চারণ করে গালাগাল করেন। পরে তাঁরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে চলে যান। রাত চারটায় পুলিশ আসে। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে ও জানালা দিয়ে হামলাকারীদের চিনতে পারি। এর মধ্যে মহিউদ্দিন ফাঁকা গুলি ছুড়ে। হামলায় অংশ নেন সাইফুল ও আজহার।’ তিনি বলেন, ‘কেন এই হামলা হলো বুঝতে পারলাম না। আমরা এর বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল বলেন, ‘দেড় মাস ধরে আমরা করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের লাশ ধোয়া, জানাজা দেওয়া, দাফনের কাজ করছি। এই ধরনের অভিযোগ অবান্তর। ঘটনার দিন মধ্যরাতেও আমরা লাশ দাফনে ব্যস্ত ছিলাম।’
মহিউদ্দিন বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনার কথা সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা করোনার লাশ দাফন নিয়ে আছি। আমাদের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ।’

আজহার উদ্দিন বলেন, ‘এটি অসত্য অভিযোগ।’