কুমিল্লায় এ মাসে করোনায় সংক্রমিত বেশি, সুস্থও বেশি

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

কুমিল্লা জেলায় গত আড়াই মাসে সহস্রাধিক মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে সুস্থ হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাসাবাড়িতে আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন। চিকিত্সকদের পরামর্শে নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মনে সাহস রেখে করোনাকে জয় করেছেন তাঁরা। চলতি মাসে শনাক্ত বেশি, সুস্থও বেশি। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিত্সক মো. এনামুল হক বলেন, জেলায় গত ৯ এপ্রিল প্রথম কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত ৭৫ দিনে (আড়াই মাসে) করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৭৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০ জন। মারা গেছেন ৮৫ জন। শনাক্ত হওয়া অপর ১ হাজার ৭৪৮ জন চিকিত্সাধীন আছেন। গত ১ জুন এ জেলায় করোনা শনাক্ত ছিল ১ হাজার ২০ জন, সুস্থ হয়েছে ১৪২ জন ও মারা গেছেন ২৮ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০ জন। এতে জুন মাসেই সুস্থ হয়েছেন ৯০৫ জন। এর মধ্যে ২৩ জুন ২৪১ জন, ২২ জুন ২২ জন, ২১ জুন ৩০ জন, ২০ জুন ৫০ জন, ১৮ জুন ৪৬ জন, ১৭ জুন ১৪৫ জন, ১৬ জুন ৩৭ জন, ১৫ জুন ৮৩ জন, ১৪ জুন ৬২ জন, ১৩ জুন ২৬ জন, ১২ জুন ২৩ জন, ১১ জুন ৪ জন, ১০ জুন ১৩ জন, ৯ জুন ১৮ জন, ৮ জুন ২৩ জন, ৭ জুন ১৫ জন, ৬ জুন ৮ জন, ৫ জুন ১০ জন, ৪ জুন ২৫ জন, ৩ জুন ২ জন ও ১ জুন ৪ জন। বাকিরা মে ও এপ্রিল মাসে সুস্থ হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৫ মে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও পরদিন দাউদকান্দি পৌরসভার মেয়র নাঈম ইউসুফের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তাঁরা ১৪ দিন বাসায় আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন। গত সপ্তাহ থেকে তাঁরা অফিস করছেন।

এ ব্যাপারে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মনে সাহস রেখে সময়টা পার করেছি। ওষুধ সেবন করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি।’

নাঈম ইউসুফ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমি বাসায় আইসোলেশনে ছিলাম। গরম পানির ভাপ নেওয়া, গড়গড়া করা, ভিটামিন সি ও ডি খাওয়া এবং মনোবল চাঙা রেখে করোনা জয় করেছি। করোনা শনাক্ত হলে মনোবল চাঙা রাখতে হবে।’

ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫ হাজার ৪১২ জনের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। আরও ১ হাজার ৬৪৫ জনের নমুনার ফল আসেনি। গতকাল বুধবার থেকে কোনো নমুনা পরীক্ষার ফল সিভিল সার্জন কার্যালয়কে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা শনাক্ত রোগীদের ফলোআপ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।