ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়া হত্যা মামলায় স্বামী ও শ্বশুর গ্রেপ্তার

সুমাইয়া বেগমকে সমাবর্তনের হ্যাট পরিয়ে দেন এক সহপাঠী। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। ছবি: সংগৃহীত
সুমাইয়া বেগমকে সমাবর্তনের হ্যাট পরিয়ে দেন এক সহপাঠী। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বেগম হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাঁর স্বামী মোস্তাক হোসাইন (৩২) ও তাঁর শ্বশুর জাকির হোসাইনকে (৬০) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের একজনকে বগুড়া থেকে, অন্যজনকে রাজশাহীর বাঘা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এ মামলার অপর দুই আসামি সুমাইয়ার শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়া বেগমের লাশ তাঁর স্বামীর বাড়ি নাটোর শহরের হরিশপুর বাগানপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। সোমবার রাতে এ ঘটনায় সুমাইয়ার মা বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই রাতেই তাঁর শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাঁর স্বামী ও শ্বশুর গা ঢাকা দেন। তাঁদের ধরতে জেলা পুলিশ আটটি দল গঠন করে। গতকাল বুধবার রাতে আটটি দল দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। শেষ পর্যন্ত আজ সকালে তাঁর স্বামী মোস্তাক হোসাইনকে রাজশাহীর সীমান্তবর্তী বাঘা উপজেলা থেকে এবং শ্বশুর জাকির হোসাইনকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। তাঁদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে অতিরিক্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ছাড়াও পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার আকরাম হোসেন, নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন উপস্থিত ছিলেন।

সুমাইয়ার মা নুজহাত বেগম মূল আসামিদের গ্রেপ্তারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এখন পুলিশের দায়িত্ব হবে গ্রেপ্তার করা আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুমাইয়া হত্যার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।