লোহাগড়ায় এক দিনে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিনসহ ১ দিনে উপজেলার ১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের শনাক্ত হওয়ার প্রতিবেদন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এসেছে। এ নিয়ে উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে লোহাগড়া পৌর এলাকা আগামীকাল শুক্রবার থেকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, আজ ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিনের করোনার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে। একই সঙ্গে আরও ১৪ জনের ফলাফল পজিটিভ হয়। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা শিকদার মুশফিকুর রহমানের স্ত্রী আসমা মুশফিক (৪৫), ছেলে আলী রেজা (৩০), সৌরভ (২২) ও ভাগ্নি সেলিনার (১৩) পজিটিভ ফলাফল এসেছে। ১৮ জুন মুশফিকুর রহমানের পজিটিভ ফল আসে। তাঁর বাড়ি পৌর এলাকার রামপুর গ্রামে। এ ছাড়া আজ লক্ষ্মীপাশার চারজন, কোলা গ্রামের দুজন এবং রামকান্তপুর, জয়পুর, পাচুড়িয়া ও শারুলিয়া গ্রামের একজন করে শনাক্ত হন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ দায়িত্বপ্রাপ্ত) রিপন কুমার ঘোষ জানান, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে লোহাগড়া হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী, সোনালী ব্যাংক লক্ষ্মীপাশা শাখার আটজন ও অগ্রণী ব্যাংক লোহাগড়া বাজার শাখার দুই কর্মকর্তা এবং লোহাগড়া থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। লোহাগড়ায় সুস্থ হয়েছেন এ পর্যন্ত ২৮ জন। তবে এ উপজেলায় কেউ মারা যাননি। জেলায় এ পর্যন্ত ১১৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ জন সদরে ও কালিয়ায় ১৬ জন।

রিপন কুমার ঘোষ বলেন, জেলার মধ্যে লোহাগড়া উপজেলায় সংক্রমণ বেশি। প্রথমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ অন্য জেলা থেকে আসা ব্যক্তিরা শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ওইসব লোকজনের মাধ্যমে কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে। উপজেলার সব এলাকায় এখন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন বাজারে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণ বেড়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, এ পরিস্থিতিতে আগামীকাল থেকে লোহাগড়া পৌর এলাকা লকডাউন থাকবে। প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত শুধু মুদিদোকান ও কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। অন্যসব দোকান বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধের দোকান খোলা থাকবে।