নেতা আটকা লকডাউনে, পদ পেলেন আরেকজন

গত ৮ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার কথা কমিটির এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জানের। কিন্তু গত ২২ জুন সে পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় সহ সভাপতি আবদুল আলীকে।

এই নিয়োগ নিয়ে দলটির নেতাদের মধ্যে আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একে তো গঠনতন্ত্র মারা হয়নি, তার ওপর যার দায়িত্ব পাওয়ার কথা

সেই আনোয়ারুজ্জামান তখন লকডাউনের কারণে বাসায় আটকা পড়েছেন। এই সময়ে অন্যকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য কেউ কেউ বলছেন, যার পদ পাওয়ার কথা তিনি লকডাউনে আটকা পড়ার সুযোগে ওই পদে অন্যকে বসানো হয়েছে।

১ নম্বর যুগ্ম মহাসচিব আনোয়ারুজ্জামানের বাসা ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার। এই এলাকাটিকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, করোনা মহামারীর কারণে বর্তমানে বিএনপির সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন কার্যক্রম স্থগিত আছে। আগে ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিতের এই মেয়াদ আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই স্থগিতের মধ্যেই আহসান উল্লাহর মৃত্যুর ১৪ দিনের মাথায় ২২ জুন কমিটির শূন্য পদ পুরণ করল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সাধারণ সম্পাদক মারা গেলে বা তিনি দায়িত্বপালনে অক্ষম হলে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বপালন করবেন। কিন্ত দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেন, তিনি নির্দেশিত হয়ে কমিটির সহসভাপতি আবদুল আলী নকীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।

আনোয়ারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, 'আমি এখন লকডাউনে আটকা আছি। আমার বিশ্বাস, শীর্ষ নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে এ কাজটি করা হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ৩০ জুন লকডাউন শেষ হলে আমি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।'

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম এ কাইুয়ম। তিনি হত্যাসহ একাধিক মামলার ফেরারি আসামি। কাইয়ুম দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে পলাতক আছেন। তাঁর অবর্তমানে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মুন্সী বজলুল বাসেত ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির্ রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, গঠনতন্ত্রে দলের চেয়ারম্যানকে দলের নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য সবর্ময় ক্ষমতা ও দায়িত্ব দেওয়া আছে। সে ক্ষমতাবলে তিনি এ দায়িত্ব দিয়েছেন। দলে এ ধরনের দৃষ্টান্ত অনেক আছে। এখানে গঠনতন্ত্রের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।