শেরপুরে আরও ১০ জনের কোভিড শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

শেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা, বাবা-ছেলেসহ নতুন করে আরও ১০ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নালিতাবাড়ীতে পাঁচজন, শেরপুর সদরে তিনজন এবং ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় একজন করে রয়েছেন। সব মিলিয়ে এ জেলায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩০।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ এসব তথ্য জানান।

জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল হালিম উকিল, জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক ও জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সাহা, নালিতাবাড়ী পৌর শহরের আড়াইআনী বাজারের এক পরিবারের বাবা-ছেলে এবং ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের গুদামরক্ষক। এ ছাড়া অন্যরা সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুল হালিম উকিল কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও অন্যরা বাসায় আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) আছেন।

সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ, নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মেহেদী হাসান এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোবারক হোসেন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, শেরপুরে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ৫ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুই নারীর করোনা শনাক্তের পর পৌনে তিন মাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০। এর মধ্যে চলতি মাসেই শনাক্ত হয়েছেন ১২০ জন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঈদুল ফিতরের পর লকডাউন শিথিল ও যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করায় সামাজিক সংস্পর্শের কারণে সাধারণ মানুষ এখন করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই করোনার বিস্তার রোধে মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য জেলাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শেরপুর সদরে ৯৫, নকলায় ৪৫, নালিতাবাড়ীতে ৪৭, ঝিনাইগাতীতে ২৪ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ১৯ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নয়জন চিকিৎসকসহ ৪৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ২৪ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৩১ জন। আর তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।