ময়মনসিংহে ১৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম সংক্রমণ

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

ময়মনসিংহ বিভাগে হঠাৎ করেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা কমে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল বিভাগের চার জেলার ৬৫৮টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন মাত্র ৩০ জন। গত ১৫ দিনের মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম সংক্রমণ।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে গতকালের শনাক্তের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা যায়, মোট ৬৫৮টি নমুনার মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ছিল ৩১১ জনের নমুনা। এর মধ্যে পজিটিভ এসেছে ১২টি নমুনা। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলার মাত্র দুজনের পজিটিভ। এ ছাড়া জেলার ত্রিশাল উপজেলায় তিনজন, ভালুকায় তিনজন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় দুজন এবং ফুলপুর ও গফরগাঁওয়ে একজন করে।

ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন এ বি এম মশিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে মানুষ আগের চেয়ে বেশি সচেতন হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। আমরা এটি প্রত্যক্ষ করেছি। মানুষ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে খুব বেশি বের হচ্ছে না। চারটা মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে সম্প্রতি নতুন কিট আনা হয়েছে। নতুন কিট আগের কিটের চেয়ে ভালো মানের। এটিও সংক্রমণ কমার কারণ হতে পারে।’

গত ১৫ দিনের মধ্যে গতকাল ময়মনসিংহ বিভাগে কোভিড-১৯ রোগী সবচেয়ে কম শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ১৭ জুন ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বোচ্চ ২১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত বুধবার শনাক্ত হয় ১১১ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনে ছিল ৮৬ জন। ১৩ জুন ৩০ জন শনাক্ত হলেও সেদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ৩৭৬। ৮ জুন এ ল্যাবে মোট ৫৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল ২৯ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক আবুল কাসেম বলেন, নতুন কিট বা পুরোনো কিটে পরীক্ষার কোনো পার্থক্য হওয়ার কারণ নেই। রোগী কম শনাক্ত হয়েছে মানে ওই দিন বিভাগে সংক্রমণ কম হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সংক্রমণ কমতে শুরু করলে করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে।

গত ৮ এপ্রিল ময়মনসিংহ বিভাগে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। গতকাল পর্যন্ত এ বিভাগে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৮০৯ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৮ জন। মারা গেছেন ৩৩ জন।