ফরিদপুর ল্যাবে সর্বোচ্চ পরীক্ষার দিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত করোনা (কোভিড-১৯) শনাক্তকরণ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষার দিনে সর্বোচ্চ ১৪০ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়েছে।

এর মধ্যে ফরিদপুর জেলায় ১১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি ফলোআপ নমুনা পরীক্ষা পজিটিভ হয়েছে। তিনটি বাদ দিলে জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৮ জনের। এ ছাড়া এদিন গোপালগঞ্জের ২৫ জন, মাদারীপুরের ৩ জন ও সাতক্ষীরার ১ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়েছে।

ফরিদপুর ল্যাব সূত্রে আরও জানা গেছে, গতকাল মোট ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ‘নেগেটিভ’ এসেছে ৪০০টি এবং ইনভ্যালিড (অকার্যকর) হয়েছে ২৪টি। এ থেকে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষা করা নমুনার ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে।

ফরিদপুরে নতুন শনাক্ত ১০৮ জনকে নিয়ে এ জেলার গতকাল রাত পর্যন্ত মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭৬। অর্থাৎ জেলায় করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দেড় হাজার পার হলো। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসক আছেন তিনজন, স্বাস্থ্যকর্মী আছেন দুজন, পুলিশ সদস্য আছেন ছয়জন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাঁচজন রয়েছেন। এ ছাড়া পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তাও রয়েছেন এতে।

ফরিদপুরে নতুন শনাক্ত ১০৮ জনের উপজেলাভিত্তিক হিসাব—ফরিদপুর সদরে রয়েছেন ৭৮ জন, সদরপুরে ১১ জন, বোয়ালমারীতে ৯ জন, মধুখালীতে ৩ জন এবং চরভদ্রাসন ও আলফাডাঙ্গায় ২ জন করে রয়েছেন। এর মধ্যে নারী ২৫ জন ও পুরুষ ৮৩ জন।

ফরিদপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরে এ পর্যন্ত ২৬৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৬০ জন হাসপাতালে এবং ১ হাজার ১৬ জন বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত এ জেলায় করোনায় পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রীর প্রয়োজন হলে জানামাত্রই আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, সব রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কারও সঙ্গে যদি যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, তবে সেটা হচ্ছে ঠিকানা সঠিক না থাকা কিংবা মুঠোফোন নম্বর ভুল থাকার কারণে।