মির্জাপুরে এক পরিবারের ৪ জনসহ ১৮ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে লকডাউন চলছে। ছবি : প্রথম আলো
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে লকডাউন চলছে। ছবি : প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর দুই পুলিশ সদস্য, এক হোমিও চিকিৎসক ও একই পরিবারের চারজনসহ আরও ১৮ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মির্জাপুর উপজেলায় ১৭৩ জন করোনায় সংক্রমিত হলেন।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্য হলেন মির্জাপুর থানার এক কনস্টেবল (৫৬) ও মহেড়া পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এক কনস্টেবল (২৭)। হোমিও চিকিৎসকের (৫০) বাড়ি উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের কদিমধল্যা গ্রামে। তিনি গোপালগঞ্জে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। সম্প্রতি তিনি মির্জাপুর এসেছিলেন। উপসর্গ থাকায় নমুনা দিয়ে তিনি গোপালগঞ্জে চলে গেছেন।

একই পরিবারের চারজন হলেন ওয়ালটনের এক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ও উপজেলা সদরের বাসিন্দা (৩১), তাঁর স্ত্রী (২৩), মা (৫১) ও শ্যালকের সন্তান (৬)। তিনি বলেন, প্রায় ১৩ দিন আগে ঢাকা থেকে তাঁর শ্বশুর তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর শ্বশুরের করোনা পজেটিভ আসে। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া তাঁর বাবা করোনাভাইরাসে সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে তিন দিন ধরে টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে।

মির্জাপুরে সব মিলিয়ে ১৭৩ জন কোভিড–১৯ রোগীর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন।

এদিকে মির্জাপুরে কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ার কারণে মির্জাপুর পৌরসভায় দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত লকডাউন চলছে। গতকাল শুক্রবার থেকে মির্জাপুরে শুধু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয়, কাঁচা বাজারসহ মির্জাপুরের সাপ্তাহিক হাটও বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৬ জুন থেকে পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে ২৫ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লকডাউন ছিল। পরে প্রশাসন লকডাউনের সময়সীমা আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাকসুদা খানম বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি ও আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।