মাদারীপুরে করোনা পরীক্ষার ফল পাওয়া যাচ্ছে ৭-১০ দিনে

মাদারীপুরে নমুনা দেওয়ার ৭ থেকে ১০ দিন পর আজ শনিবার ২৯৪ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদন এসেছে। এ প্রতিবেদন অনুসারে নতুন করে ৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, এক স্বাস্থ্যকর্মী, একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব রয়েছেন।
এ নিয়ে মাদারীপুরে কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৬৬। আজ দুপুরে জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৭, ১৮ ও ২০ জুন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রায় ৪০০ জনের নমুনা পাঠানো হয় ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে (এনআইএলএমআরসি)। আজ ২৯৪ জনের প্রতিবেদন আসে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। যা থেকে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ৩৬ জন।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮ জন শনাক্ত হয়েছেন সদর উপজেলায়। এ নিয়ে সদর উপজেলায় কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪৩ দাঁড়াল।
এ ছাড়া শিবচর উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন, এক ব্যাংক কর্মকর্তা, এক ইউপি সচিবসহ ১২ জন শনাক্ত হয়েছেন। শিবচরে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১০৮ জন।
রাজৈর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্য সহকারীসহ নতুন শনাক্ত হয়েছেন চারজন। এ উপজেলায় মোট সংক্রমিত হয়েছেন ১৮৯ জন।
কালকিনি উপজেলায় নতুন দুজনসহ মোট শনাক্ত হয়েছেন ১২৬ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলা থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৪৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৫৯ জনের প্রতিবেদন এসেছে। এখনো ৮৮৫ জনের প্রতিবেদন আসেনি। নিয়মিত প্রতিবেদন না আসায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। নমুনা দেওয়া ব্যক্তিরা নামমাত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেলা করছেন। ফলে নমুনা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পজিটিভ হয়ে থাকলে তাঁর মাধ্যমে বহু মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। এ কারণে জেলায় সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে।
নিয়মিত ও দ্রুত পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসার কারণ সম্পর্কে সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকার ল্যাবে কিছু জটিলতার কারণে প্রতিবেদন আসতে কিছুটা সময় লেগেছে। তা ছাড়া সারা দেশেই প্রতিবেদন আসতে বেশি সময় লাগছে। ল্যাবে কাজ করা অনেকেই কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব কারণেই কিছুটা সমস্যা। তবে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় পিসিআর ল্যাব বসানো হবে। আশা করছি এ সমস্যা দ্রুতই কাটবে।’
সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলায় মোট ৬৬৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৩ জন সুস্থ হয়েছেন। অন্যদের বাড়িতে ও হাসপাতালে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৯ জন মারা গেছেন।