মুন্সিগঞ্জে নতুন করে ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত

মুন্সিগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ৯৮০। এদিন নতুন করে মারা যাননি কেউ। তবে করোনা থেকে সুস্থ ঘোষিত হয়েছেন নতুন করে আরও ৮ জন।

আজ শনিবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ জুন) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) ল্যাবে পাঠানো নমুনার মধ্যে ১৮৭টি নমুনার রিপোর্ট এসেছে। সেখানে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ জন, যা পরীক্ষাকৃত নমুনার ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত কয়েক দিন আক্রান্তের হার কম দেখা গেলেও আজ আবার বেড়েছে।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘সংক্রমণ যে কমে গেছে, তা এখনই বলা যাবে না। আমাদের এ বিষয়ে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। সংক্রমণ কমিয়ে আনতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিনা প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশ মেনে জীবন যাপন করতে হবে।’

নতুন শনাক্ত হওয়া ৫৫ জনের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় রয়েছেন ১৬ জন, সিরাজদিখানে উপজেলায় ১১ জন, লৌহজং উপজেলায় ৯ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৯ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ১০ জন রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ নতুন ৩৯ জনসহ এ পর্যন্ত জেলা থেকে মোট ৯ হাজার ৭৩১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ হাজার ৩০৭ জনের নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন আরও ৪২৪ জন।

এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৮৩৮ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ১৮০ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৩০৯ জন, লৌহজং উপজেলায় ২৬৭ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ১৮৪ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ২০২ জন করোনায় রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলায় করোনায় মৃত ৪৬ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৮ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৬ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৩ জন, লৌহজং উপজেলায় ৫ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।

অন্যদিকে আজ টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৫ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ৩ জন সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা এখন ৬১৭। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮০ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৪৭ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ১৬০ জন, লৌহজং উপজেলায় ৮২ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৭৫ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন।