ভাগাড়ে সবুজের সমারোহ

সাত হাজার বর্গফুট আয়তনের গোলচত্বরটি ছিল ‘ভাগাড়’। আশপাশের লোকজন সেখানে ময়লা ফেলত। রাতে ঘুমাত ভাসমান লোকজন, বসত মাদকসেবীদের আড্ডা। এখন সেখানে সবুজে সমারোহ। চারপাশে লাগানো হয়েছে নানা রঙের ফুল, ফলদ, ভেষজ এবং বনজ উদ্ভিদ। এ ছাড়া চত্বরের মাঝে তৈরি করা হয়েছে নার্সারি। সেখানে গাছ কিনছেন স্থানীয় লোকজন।

এই দৃশ্য যাত্রাবাড়ী গোলচত্বরের। মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসড়কের নিচে এই সবুজায়ন করেছেন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ ও ডেমরা জোনের (ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী) জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রাকিবুল হাসান। আজ শনিবার দুপুরে ছোট্ট সবুজ এই উদ্যানটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেন তাঁরা। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহ ইফতেখার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে এই গোলচত্বর অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। রাতে ভাসমান লোকজন সেখানে মাদক সেবন করতেন। দিনে হকারদের দৌরাত্ম্যে পুরো এলাকায় যানজট লেগে যেত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে এই সবুজায়ন করেছি। এতে চত্বরটি গ্রামীণ পরিবেশে রূপ নিয়েছে।’ তিনি বলেন, তাঁর বিভাগের অধীনে এমন আরও অনেক পরিত্যক্ত জায়গা আছে। সেখানে ক্রমান্বয়ে সবুজায়ন করা হবে। সামাজিক এই কাজে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গোলচত্বরের এই সবুজায়নের তত্ত্বাবধায়নের বিষয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গোলচত্বরে প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট জায়গায় মুসলিম ব্যাপারী নামের এক ব্যক্তিকে নার্সারি করতে দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে তিনি চত্বরের সবুজায়ন রক্ষায় কাজ করবেন। এ ছাড়া তিনি কম দামে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রি করবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্যামপুর জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নাজমুন নাহার, ডিএসসিসির ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।