কুয়াকাটা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে ১ জুলাই

সূর্যাস্তের সময় কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। প্রথম আলো ফাইল ছবি
সূর্যাস্তের সময় কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। প্রথম আলো ফাইল ছবি

কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের আবাসিক হোটেল-মোটেলসহ পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আগামী ১ জুলাই থেকে পর্যটননির্ভর সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু হবে।

এর আগে ৫, ৬ ও ৯ জুন করোনাকালীন হোটেল-মোটেল ব্যবস্থাপনা এবং পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কর্মীদের ৩ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, খাবার হোটেলমালিক-কর্মচারী, ভ্যান-অটোচালক, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালকেরাও এ প্রশিক্ষণের আওতায় ছিলেন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে জনজীবন রক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন গত ১৮ মার্চ কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ সময় কুয়াকাটায় আটকে পড়া পর্যটকেরাও দ্রুত কুয়াকাটা ছেড়ে যাঁর যাঁর গন্তব্যে চলে যান। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় কুয়াকাটার পর্যটনকেন্দ্রিক সব ব্যবসা-বাণিজ্য।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, একজন পর্যটক গাড়িসহ হোটেলে আগমন করলে হোটেলকর্মীরা তাঁর গাড়িসহ মালামাল জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করবেন। এরপর পর্যটক নির্ধারিত কক্ষে যাওয়ার আগে হাত-পা ধুয়ে যাবেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে হোটেলের প্রতিটি কক্ষ ব্যবহার উপযোগী করা থাকবে।

এদিকে কুয়াকাটার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ই পর্যটন পুলিশের চার সদস্যের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর এসেছে।

কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল ব্যবস্থাপনা করতে বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।