শরীয়তপুরে ৬ চিকিৎসক, ১২ পুলিশসহ আরও ৫৯ জন কোভিডে আক্রান্ত

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরে আরও ৫৯ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭২ ব্যক্তি। নতুন এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের তথ্য গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই সঙ্গে ১৬ ব্যক্তিকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়।

নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন চিকিৎসক, ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ও নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন চিকিৎসক রয়েছেন। এ ছাড়া ডামুড্যা, নড়িয়া ও জাজিরা থানার ১২ পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১৩ এপ্রিল শরীয়তপুরে প্রথম চারজন করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর এ সংখ্যা বাড়তে থাকে। গতকাল জেলায় নতুন করে ৫৯ ব্যক্তির আক্রান্তের তথ্য দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

৩১ মে পর্যন্ত জেলায় করোনার রোগী ছিল ১২৫ জন। তার মধ্যে মারা গেছেন তিন ব্যক্তি। আর সুস্থ হন ৫৪ ব্যক্তি। আর জুন মাসে ৩৪৭ ব্যক্তি সংক্রমিত হয়ে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭২। জুনে আরও দুজন মারা যান। জুন মাসে সুস্থ হয়েছেন ১৬৩ ব্যক্তি। এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন ২১৭ ব্যক্তি। এখন জেলায় রোগী আছেন ২৫৫ জন।

রোগী সবচেয়ে বেশি আছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলায়, ৮৬ জন। এ ছাড়া নড়িয়ায় ৫২ জন, ভেদরগঞ্জে ৪৬ জন, গোসাইরহাটে ৪০ জন, জাজিরায় ২০ জন ও ডামুড্যায় আছেন ১১ জন। এখন পর্যন্ত শরীয়তপুরে ৪ হাজার ৬০৫ জনের নমুনার ফল এসেছে। আর ৫২৫ ব্যক্তির নমুনার ফলাফল এখনো স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পৌঁছায়নি।

জানতে চাইলে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ প্রথম আলোকে জানান, শরীয়তপুরে ব্যাপকভাবে ব্যক্তিপর্যায়ে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে জেলা শহর ও পৌর এলাকা। কারণ, এখানে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি দপ্তর। প্রতিনিয়ত নানান জায়গা থেকে নানা ধরনের মানুষের যাতায়াত রয়েছে। যাঁরা এ মুহূর্তে সেবা খাতে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁরা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছেন। প্রতিনিয়তই তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রত্যেককেই আরও সতর্ক হয়ে, স্বাস্থ্যবিধি নেমে কাজ করতে হবে। আর জনসাধারণের অবাধে চলাচল সীমিত করা প্রয়োজন। তাঁদের সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।