ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ে গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার, দুজন গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে এক গৃহবধূকে (২৬) ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চার যুবকের বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার রাতে ঝিনাইগাতী থানায় মামলাটি করেন।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ। তাঁরা হলেন উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের খোকন মিয়া (২২) ও রাসেল (২০)। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলায়। গতকাল দুপুরে গারো পাহাড়ের উত্তর বাকাকুড়া এলাকায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে আজ রোববার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. খাইরুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে ওই গৃহবধূ তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ কেন্দ্রে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বেলা দুইটার দিকে তাঁরা ঝিনাইগাতী উপজেলার উত্তর বাকাকুড়া এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় সাতজন তরুণ-যুবক অটোরিকশাটির গতিরোধ করেন। এরপর যুবকেরা গৃহবধূর আত্মীয়কে ভয় দেখিয়ে অটোরিকশা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যান। সেখানে সাত যুবকের মধ্যে তিন যুবক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। পরে গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূকে উদ্ধার এবং খোকন মিয়া ও রাসেলকে আটক করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে যান।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে খোকন ও রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার খোকন গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। আর রাসেল সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।