ওয়ারীতে লকডাউনের প্রস্তুতি, চিঠি স্থানীয় সরকার বিভাগে

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

রাজধানীর ওয়ারীতে ‘রেড জোন’ ঘোষণার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার কথা বললেও আজ রোববার রাত পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পায়নি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। 

তবে একটি সূত্র বলেছে, আজ বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই চিঠিটি স্থানীয় সরকার বিভাগে গেছে। আগামীকাল সোমবার তা ডিএসসিসিতে যেতে পারে। তখন লকডাউনের তারিখ জানানো হবে।
ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. ইমদাদুল হক আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন এখনো কোনো চিঠি পায়নি। হয়তো কাল পেতেও পারে।
এর আগে গত শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ঢাকা মহানগরীর ওয়ারীর নির্ধারিত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পরীক্ষামূলক রেড জোন বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। আর পূর্ব রাজাবাজারের রেড জোন চলমান আছে।


সেল গঠন
সারা দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দায়িত্ব পালনের জন্য একটি সমন্বয় সেল গঠন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ঘোষিত কোনো নির্দিষ্ট এলাকা লকডাউন করা হলে সেসব এলাকায় মানুষের কাছে খাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবে এই সেল।
সমন্বয় সেলের করণীয় ঠিক করতে আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রী বলেন, এই সমন্বয় সেল সারা দেশের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সময়ে সময়ে এই কমিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে ভাইরাস মোকাবিলায় ভূমিকা পালন করবে।
লকডাউন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে টেলিমেডিসিন সার্ভিসের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে হলে তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা সরবরাহ করতে হবে।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২৩ জুন অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের এই সমন্বয় সেল গঠন করা হয়।