মারা যাওয়ার ১০ দিন পর করোনা শনাক্তের প্রতিবেদন এল

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

মাদারীপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়ার ১০ দিন পর এক ব্যবসায়ীর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১১ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা গেলেন সাতজন।

মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইকরাম হোসেন আজ রোববার প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মারা যাওয়া ব্যবসায়ীর নাম আলমগীর ব্যাপারী (৫০)। তিনি কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার রাস্তি এলাকার মৃত আবু ব্যাপারীর ছেলে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, ১৮ জুন রাত আটটার দিকে আলমগীর ব্যাপারী করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান। মারা যাওয়ার চার দিন আগে থেকে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন বিকেলে তিনি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইকরাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার আগেই ওই ব্যবসায়ী নমুনা দিয়েছিলেন। ঢাকার পরীক্ষাগারে কিছু জটিলতা থাকায় প্রতিবেদন আসতে সময় লেগেছে। ওই পরিবারে তাঁর সংস্পর্শে আসা ৯ জনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপসর্গ দেখা গেলেই তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তিনি জানান, উপজেলায় মোট ২৫২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।