গোপালগঞ্জে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়াল

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ২৩ জন করোনা ‘পজিটিভ’ হন। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৯। আজ রোববার দুপুরে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ এসব তথ্য জানান।

এদিকে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১২ জন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮৭ জন। অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন মোট ১০ জন।

সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সদরে ১৫ জন, মুকসুদপুরে ২ জন ও কোটালীপাড়ায় ৬ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমিতদের বসতবাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সংক্রমিতদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ৯১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে মুকসুদপুরে ১৪৭ জন, কাশিয়ানীতে ১২৮ জন, গোপালগঞ্জ সদরে ১৫৬ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৮৮ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ৯০ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে রয়েছেন ৫০ জন।

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জে নিত্যানন্দ বল্লভ (৬৮) নামের করোনায় সংক্রমিত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই বৃদ্ধের বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়ণখানা গ্রামে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেলেন ১০ জন।

কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুশান্ত বৈদ্য বলেন, ৩ জুন নিত্যানন্দ বল্লভের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরের দিনই (৪ জুন) প্রাপ্ত রিপোর্টে তাঁর দেহে করোনা শনাক্ত হয়। নিত্যানন্দের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ওই দিনই তাঁকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন। রাতে সিভিল সার্জন, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, পরিবারের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকেরা গোপালগঞ্জ শ্মশানে নিত্যানন্দের মরদেহ দাহ করেন।