বরিশালে করোনা ওয়ার্ডে মারা গেলেন আরও ছয়জন

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে একজন কোভিড-১৯ রোগীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে তাঁদের মৃত্যু হয়।

তাঁদের চারজনই নারী। ছয়জনের মধ্যে একজন কোভিড পজিটিভ ছিলেন। বাকি পাঁচজনের তিনজনের ফলাফল নেগেটিভ, দুজনের অপেক্ষমাণ আছে। হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন ছয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতালের প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ২৮ মার্চ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত এ নিয়ে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৯৪ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ৩৪ জন কোভিড-১৯ রোগী ছিলেন। বাকি ৬০ জন মারা যান উপসর্গ নিয়ে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সকাল ৮টার দিকে মারা যান এক নারী (৪০)। বাকেরগঞ্জ উপজেলার ওই নারী করোনার উপসর্গ নিয়ে ২৫ জুন এই হাসপাতালের করোনার ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। গতকাল সকালে তিনি মারা যান। এর আগে তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল করোনা নেগেটিভ আসে।

গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে পৌনে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যান আরেক এক নারী (৬০)। বরিশাল নগরের বাসিন্দা এই বৃদ্ধা করোনার উপসর্গ নিয়ে ২৬ জুন বিকেল সাড়ে চারটায় এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ফলাফল এখনো আসেনি।

গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই হাসপাতালে মারা যান এক যুবক (৩৫)। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওই ব্যক্তি ২৫ জুন উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তির পর নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা নেগেটিভ ফল আসে।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মারা যান আরেক নারী (৪৪)। তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। বরিশাল নগরের এই বাসিন্দা ২৫ জুন সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

গতকাল রাত ১০টার দিকে মারা যান বরিশালের বাকেরগঞ্জের এক বৃদ্ধ (৭০)। তিনি ১৮ জুন এই হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের করোনা নেগেটিভ আসে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এক বৃদ্ধা (৬২) মারা যান। তিনি পটুয়াখালী গলাচিপা সদরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ১৯ জুন করোনার উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড এত রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভাগের সব জেলার গুরুতর রোগীদের শেষ মুহূর্তে এই হাসপাতালে পাঠানো হয়। দেখা যায়, যেসব রোগী এখানে আসেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই ফুসফুস শক্ত হয়ে যায়। এতে অক্সিজেন দেওয়া হলে এসব রোগীর ফুসফুস আর সক্রিয় হয় না। ফলে এসব রোগী মারা যান। তবে জাতীয়ভাবে মৃত্যুর হারের চেয়ে এখনো আমাদের হাসপাতালে মৃত্যুর হার কম।’