পাটকল বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে সন্তান নিয়ে শ্রমিকদের অবস্থান

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে খুলনায় সন্তানদের নিয়ে শ্রমিকেরা পাটকলের ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলস, ২৯ জুন। ছবি: সাদ্দাম হোসেন
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে খুলনায় সন্তানদের নিয়ে শ্রমিকেরা পাটকলের ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলস, ২৯ জুন। ছবি: সাদ্দাম হোসেন

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে খুলনা অঞ্চলের প্রতিটি মিলগেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শ্রমিকদের ওই কর্মসূচি পালিত হয়। ওই কর্মসূচিতে শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের ছেলেমেয়েরাও অংশ নেন।

খুলনা অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকল রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি খুলনায় ও দুটি যশোরে। এসব মিলে ৮ হাজার ১০০ জনের মতো স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন। মিল বন্ধ করে দেওয়া হলে শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হবে।

তবে শ্রমিকেরা কেউই চান না মিল বন্ধ হোক। এ কারণে সরকারি ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুরু থেকে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। ওই আন্দোলনকে বেগবান করতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ নন–সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ নামের একটি সংগঠন গঠন করেছেন তাঁরা। গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলন করে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তাঁদের ঘোষিত ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই আজ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শ্রমিকনেতারা বলেন, মন্ত্রণালয়ের কিছু ভুল নীতি নির্ধারণের কারণেই রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো লোকসানের মুখে রয়েছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ করে মিলগুলোকে সময়মতো অর্থ বরাদ্দ দিতে পারলেই ঘুরে দাঁড়াবে মিলগুলো। মিল রক্ষার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করেই তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

শ্রমিকনেতারা বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে মিল বন্ধ করার সরকারি ওই সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হলে আগামী ১ জুলাই থেকে শ্রমিকেরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ মিলগেটে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। সারা দেশে পাটকলের সঙ্গে শুধু শ্রমিকদেরই নন, প্রায় তিন কোটি মানুষের রুটিরুজি জড়িত। পাটকল বন্ধ করলে তাঁদের পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।