পিরোজপুরে চিকিৎসকসহ ১১ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

পিরোজপুরে একজন চিকিৎসকসহ নতুন করে আরও ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষাগার থেকে পিরোজপুরের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ নিয়ে জেলায় ২০৬ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হলো। গত ১৩ এপ্রিল জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রথম এক ব্যক্তির শনাক্ত হয়।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার পিরোজপুর জেলার ৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গতকাল রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে পিরোজপুর সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক, সদর উপজেলার তিনজন, ইন্দুরকানি উপজেলায় একজন, ভান্ডারিয়া উপজেলার তিনজন ও মঠবাড়িয়া উপজেলার তিনজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। পিরোজপুর সদর হাসপাতালের ওই চিকিৎসক কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতেন।

পিরোজপুরের সিভিল সার্জন মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, জেলায় কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ জনের উপসর্গ প্রকাশ না পাওয়ায় তাঁদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভান্ডারিয়ায় একজন রোগীকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৪৬ জন, ভান্ডারিয়ায় ৪৪, মঠবাড়িয়ায় ৫৬, ইন্দুরকানিতে ২০, নেছারাবাদে ১৭, কাউখালীতে সাতজন এবং নাজিরপুর উপজেলায় ১৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১০৫ জন।