লাখ টাকা নিয়ে দৌড়াচ্ছিল ছিনতাইকারী...

ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সৈয়দপুর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টের হাতে ধরা পড়েন শেখ মাহমুদ। পেছনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পরা সার্জেট আশরাফ কোরাইশি। ছবিটি সোমবার দুপুরে শহরের পুলিশ বক্স থেকে নেওয়া। ছবি: প্রথম আলো
ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সৈয়দপুর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টের হাতে ধরা পড়েন শেখ মাহমুদ। পেছনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পরা সার্জেট আশরাফ কোরাইশি। ছবিটি সোমবার দুপুরে শহরের পুলিশ বক্স থেকে নেওয়া। ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়লেন এক ছিনতাইকারী। আজ সোমবার দুপুরে ধাওয়া করে শেখ মাহমুদ (৫০) নামের ওই ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আশরাফ কোরাইশি।

পুলিশ জানায়, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বর্তমানে সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান (৪২) সোনালী ব্যাংক সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট শাখা থেকে তিন লাখ টাকা তুলে শহরে কেনাকাটার জন্য আসেন। শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের গাউসিয়া কনফেকশনারির কাছে তিনি যানজটে আটকা পড়েন। এ সময় ব্লেড দিয়ে তাঁর ব্যাগ কেটে এক লাখ টাকা বের করে নিয়ে দৌড় দেন ওই ছিনতাইকারী। সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আশরাফ কোরাইশি দৌড়ে পিছু নেন ছিনতাইকারীর। ৫০ মিটার দূরে মদিনা মোড় এলাকায় ধরা পড়েন ওই ছিনতাইকারী।

আশরাফ কোরাইশি বলেন, ‘দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আমি সেখানে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় দেখতে পাই এক লোক দৌড়ে পালাচ্ছেন। দৌড়ানো দেখে সন্দেহ করে আমি তাঁর পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলি। পরে তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা উদ্ধার করি। যাঁর টাকা ছিনতাই হয়েছে, তিনি তখনো টের পাননি যে ব্যাগ থেকে টাকা খোয়া গেছে।’

পরে ছিনতাইকারী শেখ মাহমুদকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে পুলিশ। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রমিজ আলম ছিনতাইয়ের দায়ে ওই ব্যক্তিকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক চৌধুরী নাহিদ পারভেজ এ ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।