মাদারীপুরে দ্বিতীয়বার কোভিডে আক্রান্ত হলেন চিকিৎসক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক সুস্থ হওয়ার পর আবারও কোভিড–১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। আজ সোমবার তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। এর আগে মে মাসের শুরুতে তিনি প্রথমবার আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেন।

এদিকে জেলায় ওই চিকিৎসকসহ নতুন করে আরও ২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৩৮।
আজ বিকেলে প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম।
দ্বিতীয়বার কোভিড–১৯ আক্রান্ত চিকিৎসকের নাম হারুন–উর– রশিদ খান (৪৫)। তিনি শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হৃদ্‌রোগ বিভাগে কর্মরত। আজ রাতে মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে ৭ মে ঢাকায় তিনি প্রথমবার সংক্রমিত হন। ঢাকায় তাঁর পরিবার থাকে। ওই সময় তাঁর সামান্য জ্বর–কাশি ছিল। ২৭ মে তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। এর পর চলতি জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেন।
হারুন–উর–রশিদ খান বলেন, ‘১৮ জুন আমি কোভিড–১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে যাই। পরে আমার হালকা ঠান্ডা ও গলাব্যথা দেখা দেয়। তাই ২১ জুন আবার নমুনা দিই। আজ পরীক্ষার প্রতিবেদনে জানতে পারি, আমি আবার আক্রান্ত হয়েছি।’ তিনি জানান, তাঁর অসুস্থতা গুরুতর নয়। জ্বর তেমন নেই, হালকা কাশি আছে। তিনি আইসোলেশনে আছেন।
জানা গেছে, এর আগে মাদারীপুরের আরও ছয়জনের দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমাদের একজন চিকিৎসক আবারও আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া একজন কর্মী নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন। তাঁরা আপতত ভালো আছেন। তাঁরা হোম আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসাসেবা নেবেন।’
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, চলতি জুন মাসের ২১ ও ২২ তারিখ জেলার যে ব্যক্তিরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৯৯ জনের প্রতিবেদন এসেছে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। এতে নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন ২৯ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় শনাক্ত হয়েছেন ১২ জন। সদরে নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর থানার পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই), বিশেষ শাখার এক সহকারী এসআই, র‌্যাব-৮–এর এক সদস্য ও এক আইনজীবী রয়েছেন। এ নিয়ে সদর উপজেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ২৬৩ জন, যা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
জেলার সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন আক্রান্তসহ ৪৪১ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড ও বাসায় আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ কমাতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’