যশোরের পল্লিচিকিৎসক করোনা 'পজিটিভ' ছিলেন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শুক্রবার রাতে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান পল্লিচিকিৎসক শামিমুর রহমান (৩৮)। ওই দিন সকালেই যশোরে তাঁর করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আজ সোমবার ওই রিপোর্ট এসেছে। এতে জানা গেছে, তিনি করোনায় আক্রান্ত (পজিটিভ) ছিলেন। যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন আজ রাতে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শামিমুর রহমান যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার আনিসুর রহমানের ছেলে। তিনি পল্লিচিকিৎসক ছিলেন। শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে তাঁর একটি ওষুধের দোকান রয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র জানায়, শামিমুর রহমান আগে থেকেই লিভার, ডায়াবেটিস ও চর্মরোগে ভুগছিলেন। কয়েক দিন আগে তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সেই কারণে স্বজনেরা তাঁকে যশোরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুক্রবার সকালে ওই হাসপাতাল থেকে তাঁর করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার জন্য নমুনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানকার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

নমুনা সংগ্রহের প্রতিবেদন না আসায় শুক্রবার রাতে শামিমুর রহমানের মরদেহ রাখা ও দাফন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যশোরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্সেই মরদেহ রাখা হয়। পরদিন শনিবার দুপুরে যশোর কারবালা কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে যশোরে মোট ১০ জন করোনায় আক্রান্ত মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলেন ৫৫৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭২ জন।