হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, ওয়াসার পানির বর্ধিত দাম বহাল

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পানির বর্ধিত দাম আদায়ে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ১৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার ভার্চ্যুয়াল চেম্বার কোর্টের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন। এর ফলে পানির বর্ধিত দাম বহাল থাকল ও দাম আদায়ে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ওয়াসার আইনজীবী। 

গত ১ এপ্রিল থেকে পানির দাম প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়ানোসংক্রান্ত ওয়াসার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইনের কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ১৫ জুন হাইকোর্টে রিট করেন। এর শুনানি নিয়ে ২২ জুন হাইকোর্ট কার্যকর হওয়া ওয়াসার পানির বর্ধিত দাম আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দেন। ১০ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত দাম আদায় থেকে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে বিরত থাকতে ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আবেদন করে, যা ২৩ জুন চেম্বার কোর্টে ওঠে। সেদিন আদালত ৩০ জুন শুনানির জন্য দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।

আদালতে ওয়াসার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম, যিনি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলও। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক, সঙ্গে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ ১৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ওয়াসার পানির বর্ধিত দাম আদায় করা যাবে।

ওয়াসা কর্তৃপক্ষের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইনের ২২(১) ও ২২(৩) ধারার বলে পানির প্রকৃত উৎপাদন ও বিতরণ ব্যয়ের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যর সামঞ্জস্যবিধান এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিজনিত খরচ সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারের অনুমোদনক্রমে প্রতি এক হাজার লিটার পানির অভিকর (দাম) আবাসিকে ১১ টাকা ৫৭ পয়সার স্থলে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিকে ৩৭ টাকা ৪ পয়সার স্থলে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হলো। সংশোধিত অভিকর (দাম) ওই আইনের ২৩ ধারা অনুসারে ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।