খুলনা বিভাগে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত ১৯৮

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

খুলনা বিভাগে নতুন করে আরও ১৯৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ হাজার ২৭৪। এ ছাড়া বিভাগে করোনায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে আরও সাতজনের। এ নিয়ে বিভাগে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট ৭২ জন মারা গেলেন।

আজ মঙ্গলবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মনজুরুল মুরশিদ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, বিভাগে নতুন করে ৭৭ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১৫৮। বিভাগে এখন পর্যন্ত সুস্থ হওয়ার হার প্রায় ২৭ শতাংশ।

বিভাগে নতুন সংক্রমিত ১৯৮ জনের মধ্যে খুলনা জেলায় রয়েছেন ১০৯ জন, সাতক্ষীরায় ১, যশোরে ৪৫, ঝিনাইদহে ১০, মাগুরায় ৬, নড়াইলে ১, কুষ্টিয়ায় ২১, চুয়াডাঙ্গায় ৩ ও মেহেরপুরে ২ জন রয়েছেন। এই সময়ে বাগেরহাটে কোনো রোগী শনাক্ত হননি।

সব মিলিয়ে বিভাগের মধ্যে খুলনায় এখন পর্যন্ত করোনায় মোট সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৮৯৫ জন, যা বিভাগের মোট রোগীর প্রায় ৪৫ শতাংশ। এ ছাড়া বাগেরহাটে ১৯৪ জন, সাতক্ষীরায় ১৮৪, যশোরে ৬০৬, ঝিনাইদহে ১৯৫, মাগুরায় ১৩৬, নড়াইলে ১৭৯, কুষ্টিয়ায় ৫৯৮, চুয়াডাঙ্গায় ২১৫ ও মেহেরপুরে ৭২ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।

অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাব মতে, সংক্রমণ ও মৃত্যু—বিভাগে দুই সূচকেই এগিয়ে খুলনা। বিভাগে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় সবচেয়ে বেশি ২৫ জন, যশোরে ১২, কুষ্টিয়ায় ৯ ও নড়াইলে ৭ জন রয়েছেন। এ ছাড়া মেহেরপুরে ৫ জন, সাতক্ষীরায় ৪, বাগেরহাট ও মাগুরায় ৩ জন করে এবং ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় ২ জন করে করোনা রোগী মারা গেছেন।

বিভাগের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন খুলনায় ২৬৬ জন, বাগেরহাটে ৮১, সাতক্ষীরায় ৫৯, যশোরে ১৬৪, ঝিনাইদহে ৮৮, মাগুরায় ৪৫, নড়াইলে ৬৬, কুষ্টিয়ায় ২৩২, চুয়াডাঙ্গায় ১৩২ ও মেহেরপুরে ২৫ জন।

গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় একজনের করোনা শনাক্ত হওয়ার মাধ্যমে খুলনা বিভাগে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন। পরবর্তী ৭৩ দিনে (মে পর্যন্ত) এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০০–তে। পরের ১১ দিনেই আরও ৫০০ ব্যক্তি পজিটিভ শনাক্ত হলে ১১ জুন, অর্থাৎ ৮৫তম দিনে এখানে সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। এর পরের ৫ দিনে (১৬ জুন, অর্থাৎ ৯০ তম দিনে) নতুন করে আরও ৫০০ জন পজিটিভ শনাক্ত হলে রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়ায়।

আরও ৫০০ রোগী যোগ হয় তারপর মাত্র ৪ দিনে। আর তা নিয়ে রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়ায় ২০ জুন, ৯৪তম দিনে। এরপরের ৫০০ যোগ হয় মাত্র ২ দিনে। তা নিয়ে রোগীর সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়ায় ২২ জুন, ৯৬তম দিনে। ৩ হাজার ছাড়ায় ২৫ জুন, ৯৯তম দিনে। ২৭ জুন ১০১তম দিনে রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার ছাড়ায়। আবার মাত্র ২ দিনে ৫০০ শনাক্ত যোগ হয়ে ২৯ জুন ১০৩তম দিনে রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়ায়।