ফরিদপুরে পুলিশ-চিকিৎসকসহ ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

ফরিদপুরে কোভিড রোগীর সংখ্যা দুই হাজারের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাত পুলিশ সদস্য, এক চিকিৎসক, চার স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৯৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৯৭১। আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে মোট ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মোট শনাক্তের মধ্যে ফরিদপুরের ৭টি দ্বিতীয় দফার নমুনা মিলে ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে ২৭ জন, মাদারীপুর ও মাগুরায় ২ জন করে এবং রাজবাড়ী ও যশোরে ১ জন করে করোনা পজিটিভ আসে।

ফরিদপুরে নতুন শনাক্তদের মধ্যে ফরিদপুর পুলিশ লাইনস, কোর্ট পুলিশ, কারা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের ৭ জন রয়েছেন। এ ছাড়া একজন চিকিৎসক, চার স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের একজন করে আছেন।

ফরিদপুরে নতুন করে যে ৯৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাঁদের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ৭৮ জন, নগরকান্দায় ৯, ভাঙ্গায় ৩ জন, বোয়ালমারীতে ২ জন এবং আলফাডাঙ্গায় একজন রয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত ফরিদপুরে মোট শনাক্ত ১ হাজার ৯৭১ জনের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ৮৬৪ জন, ভাঙ্গায় ৩২৯ জন, বোয়ালমারীতে ২৪৯ জন, সদরপুরে ১২৮ জন, নগরকান্দায় ১৩০ জন, চরভদ্রাসন ৯০, সালথায় ৬৫ জন, মধুখালীতে ৫৯ জন এবং আলফাডাঙ্গায় ৫৭ জন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, নতুন শনাক্তের মধ্যে সাতজন পুলিশ সদস্য ও একজন কারারক্ষীও রয়েছেন। পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করতে হয়। এ জন্য তাঁদের মধ্যে সংক্রমিতের হারও বেশি।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, গত সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার শনাক্তের হার বেড়ে গেছে। সদরে সংক্রমিতের হার বেশি। বেশি করে নমুনা পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।