রাতে বের হওয়ার বিধিনিষেধ শিথিল

দোকানপাট, হাটবাজার ও শপিং মল খোলা রাখার সময় বাড়ানোর পাশাপাশি রাতে বের হওয়ার ক্ষেত্রেও শিথিলতা আনা হয়েছে। এত দিন রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসস্থানের বাইরে যাওয়ায় বিধিনিষেধ ছিল। এখন সেই বিধিনিষেধ থাকবে রাত ১০টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কাল বুধবার থেকে রাত ১০টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ( প্রয়োজনীয় কেনা-বেচা, যাতায়াত, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা সেবা, মৃত দেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) ছাড়া বাসস্থানের বাইরে আসা যাবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং অফিস খোলা রাখার বিষয়ে আজ রাতে আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখানেই অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশাশি রাতে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে শিথিলতার বিষয়টি রয়েছে।

এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত এখনকার মতোই সীমিত পরিসরে চলবে অফিস। তবে দোকানপাট, হাটবাজার ও শপিং মল খোলা রাখার সময় সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত করা হয়েছে।

এত দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দোকানপাট, হাটবাজার ও শপিং মল খোলা রাখা যেতে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে আরও বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহার সময় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে কোরবানির পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া যাবে। অবশ্য এ বিষয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আগের মতোই সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
আদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস চলার কথাও আছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আগের মতোই রয়েছে।